রাজবাড়িতে সংগ্রহশালা গড়ছে রাজ কলেজ

Share with Friends

শ্যামসুন্দর দোলই, নাড়াজোল: পশ্চিম মেদিনীপুরের নাড়াজোল রাজবাড়িতে (Narajole rajbari) স্থাপন হতে চলেছে সংগ্রহশালা (Museum)। এর জন্য ১৬ মে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং রাজবাড়ির প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত হন।

৮২০ বঙ্গাব্দে তথা ১৪১৩ খ্রিস্টাব্দে ঐতিহাসিক নাড়াজোল রাজবাড়ির গোড়াপত্তন করেছিলেন তৎকালীন বর্ধমান রাজ ইছাই ঘোষের দেওয়ান উদয়নারায়ণ ঘোষ। মুসলিম জামানায়ও ৩০০ বছরের বেশি অক্ষুণ্ণ ছিল সেই রাজত্ব। যদিও পলাশীর যুদ্ধের পর, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে চুয়াড় বিদ্রোহ থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত ছিল এই রাজবাড়ি।

গৌরবের সেই অধ্যায় এগিয়ে গিয়েছে পরিবারের উত্তরাধিকারীদের হাত ধরেও। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর এলাকায় উচ্চশিক্ষা প্রসারে ১৯৬৬ সালে রাজবাড়ীর বৃহত্তর অংশ নাড়াজোল রাজ কলেজ স্থাপন হয়। সেই কলেজ ২০০৬ সালে দাসপুর-মেদিনীপুর ভায়া নাড়াজোল রাজ্য সড়কের ধারে স্থানান্তরিত হয়েছে।

এখন রাজবাড়িতে একটি ঐতিহাসিক সংগ্রহশালা করার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান কলেজ কর্তৃপক্ষ। এজন্য ১৬ মে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রবীর ভূঁইয়া ও পশুপতি মাইতি এবং রাজ পরিবারের উত্তরাধিকারীদের পক্ষে বিশ্বজিৎ খান, মানবেন্দ্র খান, সন্দীপ খান, রঞ্জিত খান ,প্রফুল্ল খান, সুশান্ত খান, গোপেশ্বর খান, অমিতাভ খানরা।

তাঁদের সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের উপাধ্যক্ষ ডক্টর রনজিত খালুয়া, IQAC কোঅর্ডিনেটর ডক্টর প্রজ্ঞা পারমিতা মন্ডল, ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মঙ্গল নায়েক, সংস্কৃত সাহিত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশিস ভট্টাচার্য মতামত বিনিময় করেছেন।

এই প্রস্তাবে সন্তোষ প্রকাশ করে উপস্থিত উত্তরাধিকারীরা স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রশাসনকে যুক্ত করে রাজবাড়ির দেয়ালে আগাছা কেটে বৃষ্টির জল চুয়ে পড়া প্রতিরোধে এই ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন।


Share with Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *