শ্যামসুন্দর দোলই, দাসপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের খুকুড়দহ কৃষি বিজ্ঞান গ্রামীণ মেলা পায়ে পায়ে ২৩ বছরে পড়ল। শনিবার মেলার উদ্বোধন করলেন ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্পাদক সুরোজিৎ মাজী স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে এই মেলায় হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ফেরানো ও সৃজনশীলতার প্রসার ঘটানোর আশা করেন। মঙ্গলদীপ জ্বেলে সঙ্ঘবদ্ধ জীবন ও সুসম্পর্কের বার্তা দেন শ্রীকান্ত মাহাতো। দাসপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতিমা দোলৈ করোনা অতিমারীর মতো কঠিন পরিস্থিতিতেও সতর্কতার সঙ্গে জীবনকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন।
সমাজসেবী সুকুমার বেরা এই মেলাকে সামাজিক শিক্ষার উৎস হিসেবে ব্যাক্ত করেন। বরুণা সৎসঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া / বুকের মাঝে বিশ্বলোকের পাবিরে সাড়া’– মর্মবাণী স্মরণ করে মেলার মাধ্যমে সংস্কৃতির সুরক্ষার বার্তা দেন। দাসপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি আশিস হুদাইত খাবার উৎপাদকদের কৃষক পরিচয়দানে সঙ্কোচ বোধ ও শহুরে উন্নাসিকতায় খেদ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: দেখুন তুলসীর কোন গুণগুলি আপনার জীবন বদলে দিতে পারে
সব শেষে ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস আশিস হুদাইতের বক্তব্যে সমর্থন জানান। সেই সঙ্গে জানান তাঁর বাবাও নদীয়ার একজন কষিজীবী মানুষ ছিলেন। তিনি বলেন, কৃষি পণ্য কল কারখানায় হয় না, জমিতেই হয়। তাই কৃষি কাজে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতির চাষে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। ভারত কষি নির্ভর দেশ। তাই স্বাধীনতা লাভের পর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কৃষিতে গুরুত্ব ছিল। দেশের জিডিপি-ও বেশি ছিল। কিন্তু ক্রমান্বয়ে তা কমছে। তা সত্ত্বেও এখনও ২০ শতাংশের উপর দেশের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। তাই এই মেলায় কৃষি প্রদর্শনী, কৃষকদের সম্মাননা ও কৃষি আলোচনাদি অবশ্যই প্রয়োজন।
মেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে ‘এষণা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিশ্বজিৎ বল।