ব্যুরো রিপোর্ট: ভর সন্ধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় থেকে আকাশে দেখা গেল অদ্ভুত এক আলোর ঝলক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্ষণিকের এই আলোতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রথমে এটিকে উল্কা বলে মনে করেন অনেকে।
তবে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের টুইট সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দেয়। এএনআই জানিয়েছে, ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে DRDO সফল ভাবে অগ্নি-৫ (AGNI V)ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। তার পরই বোঝা যায় আকাশের এই আলো আগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রের ঝলক।
সন্ধ্যায় আচমকা আকাশের আলোর ঝলক দেখতে পান রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। প্রথমে ময়ূরের পেখম খোলার মতো ডানা খোলা আকৃতির আলো দেখা যায়। তার পর সার্চ লাইটের মত আলোর ঝলক বাড়তে শুরু করে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আলোর ঝলক মিলিয়েও যায়।
জল্পনা শুরু হয় কী এই আলোর উৎস? তার পরই সামনে আসতে থাকে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও সংবামাধ্যমের রিপোর্ট। যা থেকে জানা গিয়েছে অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপনের কথাটি। ডিআরডিও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্রটির ঘোষিত পাল্লা প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার। যদিও এর পাল্লা আরও বেশি বলে দাবি করে চিনের মতো দেশও। নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম অগ্নি সিরিজের উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রগুলি।
শুধু তাই নয়, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম, এই ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালাস্টিক মিশাইল (ICBM) বা আন্তঃমহাদেশ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি ৫। শুধু অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রই নয় এই সিরিজের পরের ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি ৬-ও তৈরি করে ফেলেছে ডিআরডিও। যার পাল্লা প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার। যা ড্রাগনের দেশের শাসকদের বুকে কাঁপন ধরাতে সক্ষম। তবে এত দিন এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা দিনের বেলাতেই হয়ে এসেছে। এবার রাতেও সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও।
কিছু দিন ধরেই চিনের সঙ্গে ফের সীমান্ত সমস্যা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। অরুণাচলপ্রদেশে সম্প্রতি অনুপ্রবেশ করে চিনা সেনা। যদিও ভারত সফল ভাবে তার মোকাবিলা করে। তবে ড্রাগনের দেশের সেনা যে সহজে থামবে না তা বলাই বাহুল্য।
চিনের আগ্রাসি মনোভাবের জবাব দিতেই কি অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্রে উৎক্ষেপণ, প্রশ্ন উঠছে। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস তথা ভারতের বিজয় দিবস। তার আগে এবং চলতি ভারত চিন সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে দেশের সরকার পেশি শক্তি প্রদর্শন করল বলেই সমর বিশেষজ্ঞদের ধারণা।