নিজস্ব প্রতিনিধি, দাসপুর (Daspur): ওষুধ দেওয়ার প্লাস্টিকের শিশি এবং সুগার দানা না থাকর জন্য গত ৬ দিন ধরে কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে এক হোমিওপ্যাথি দাতব্য চিকিৎসালয় (charitable homeopathy dispensary)। প্রতিদিন ঘুরে যাচ্ছেন রোগীরা।
প্রায় এক মাস আগে ওষুধ এবং ফুরতে থাকা ওই সব সরঞ্জাম চেয়ে চিঠি লেখা হয় স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে। কিন্তু এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করে উঠতে পারেনি গ্রামপঞ্চায়েত। পশ্চিম মেদিনীপুরে দাসপুরের পাঁচবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার কলোড়া গ্রামের দাতব্য চিকিৎসালয়ের ঘটনা। রোগীরাই এই অভিযোগ করেছেন।
১৯৭৬ সালে স্থাপিত হয় এই হোমিওপ্যাথি দাতব্য চিকিৎসালয়টি। এলাকার মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য অনেকাংশেই এই চিকিৎসা কেন্দ্রটির উপর নির্ভরশীল। শুরু থেকে কার্যত বিনাপয়সায় এখানে চিকিৎসা পেয়ে উপকৃত কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু ৪৬ বছরে এই প্রথম সেখানে চিকিৎসা ওষুধ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিষয়টি নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেছেন শিবরাম বারিক, বুদ্ধদেব বারিকের মতো স্থানীয় মানুষ।
কেন এই অবস্থা তা জানতে চেয়ে কৃষিজীবী সমাচারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় সেখানকার চিকিৎসক চিন্ময় মাইতির সঙ্গে। তিনি জানান, হোমিওপ্যাথি ওষুধ দেওয়ার জন্য সুগারের দানা ছোট ছোট প্লাস্টিকের শিশি ভরে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। কিন্তু বর্তমানে তাঁদের হাতে সেই সুগার দানা এবং শিশি শেষ।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাকেন্দ্রের তরফে স্থানীয় পাঁচবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে জানানো হয় কী কী প্রয়োজন। কিন্তু তার পর প্রায় এক মাস কেটে গেলেও পঞ্চায়েতের তরফে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়নি। এখন তিনি এবং কম্পাউন্ডার মদন গোস্বামী কার্যত আসছেন এবং কাজ না করেই ফিরে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান দীপালি ঘোষ এবং উপপ্রধান সুকুমার জানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা জানান, চিঠি পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা একাধিক বৈঠকে আলোচনাও করেছেন। তবে দুয়ারে সরকার এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজের চাপে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সোমবার ৭ মার্চ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপ করা হবে বলে আগে থেকেই ঠিক করা রয়েছে। সেই মতো চিকিৎসক চিন্ময় মাইতিকেও ডাকা হয়েছে। আশা করা যায় ওই দিনই সমস্যা মিটে যাবে।