‘লাইফ পাথ নম্বর’ (Life path Number) বা জীবন ধারা সংখ্যা হল নিমেরোলজি বা সংখ্যাতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যেখান থেকে আমরা আমাদের এবং আমাদের চার পাশের মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ সম্পর্কে আরও ভাল করে অনেক কিছু জানতে পারি। নিজেদের সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পারি যা হয়তো আমরা খেয়ালই করিনি কোনও দিন।
ফলে এই পদ্ধিতিকে এক কথায় ব্যক্তিত্ব যাচাই পদ্ধতিও বালা যেতে পারে। যার মাধ্যমে আমরা নিজেদের এবং যাঁদের সঠিক জন্ম তারিখ জানি তাঁদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে বুঝতে বা ধারনা করে ফেলতে পারি।
‘লাইফ পাথ নম্বর’ বা জীবন ধারা সংখ্যার ক্ষেত্রে ছোট্ট সজহ সরল একটি সমীকরণের সাহায্যে আমরা গোটা বিষয়টি গণনা করতে পারি। যেখান থেকে কারও ব্যক্তিত্ব, মানসিকতা, জীবনের প্রতি মূল্যবোধ এমনকি পেশা সংক্রান্ত বিষয়েও একটা স্পষ্ট ধারণা দেয়।
‘লাইফ পাথ নম্বর’ বা জীবন ধারা সংখ্যার ক্ষেত্রে জন্ম তারিখের সংখ্যাগুলির যোগ ফল এক অংকে নামিয়ে আনতে হবে। অর্থাথ ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা পাওয়া পর্যন্ত যোগ করে যেতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে যদি ১১ এবং ২২ এসে যায় তবে এই দুই সংখ্যাতেই থেমে যেতে হবে। কারণ দুই সংখ্যাকে মাস্টার নম্বর বলা হয়। অর্থাৎ কারও জন্ম তারিখ যোগ করে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১১ এবং ২২।
এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক কী ভাবে আপনার জন্মের তারিখ থেকে ‘লাইফ পাথ নম্বর’ বা জীবন ধারা সংখ্যা বার করবেন। আপনি নিজেই এটি করলে ফেলতে পারবেন।
ধরা যাক কারও জন্ম তারিখ হল ২১ জুন ১৯৯০ অর্থাৎ ২১.০৬.১৯৯০। এবার প্রত্যেকটি সংখ্যাকে পর পর যোগ করে যেতে হবে। যেমন ২+১+০+৬+১+৯+৯+০=২৮। ২৮-এর যোগফল ২+৮= ১০। আবার ১০-এর অংক দুটির যোগফল ১+০=১। অর্থাৎ ২১.০৬.১৯৯০ তারিখে জন্মানো কারও ‘লাইফ পাথ নম্বর’ হল ১।
এবার কারও জন্ম তারিখ যদি হয় ০৪.০৫.১৯৯১ তবে তাঁর ক্ষেত্রে হিসাব হবে ০+৪+০+৫+১+৯+৯+১=২৯। ২+৯=১১। এ ক্ষেত্রে ১ এর সঙ্গে আর ১ যোগ হবে না। এ ক্ষেত্রে লাইফ পাথ নম্বর হবে ১১-ই। ১১ ধরেই হিসাব করা হবে। একই ভাবে যদি প্রথম প্রথম বা দ্বিতীয় ধাপে বা পরের ধাপে যদি সংখ্যাগুলির যোগফল ২২ হয় তবে সে ক্ষেত্রেও ২২ ধরেই হিসাব হবে।