বলিপাড়ায় আবারো ইন্দ্রপতন। হৃদরোগে মৃত্যু অভিনেতা সিদ্ধর্থ শুক্লার
নিজস্ব সংবাদদাতা:- আবারো শোকের ছায়া বি-টাউনে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোন ওষুধ খেয়েছিলেন কিন্তু তারপর আর ঘুম ভাঙেনি। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ঘুমের মধ্যেই হয়তো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার।
তাঁর বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। তাঁর মা ও দুই বোন জীবিত। ১৯৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে জন্ম সিদ্ধর্থ শুক্লার।বর্তমানে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত চলছে কুপার হাসপাতালে। এই ঘটনার ঠিক এক বছর আগে যেখানে ময়না তদন্ত হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুত-এর।
হাসপাতালে তরফে আরও জানানো হয়েছে, ঘুম না ভাঙ্গায় সিদ্ধাত কে পরিবারের লোকেরা ভর্তি করেন হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির আগেই তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত এখনও শুরু হয়নি। পুলিশি প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে মৃতদেহ।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ‘বাবুল কা আঙ্গন’ ছোট ধারাবাহিকের মাধ্যমে হিন্দি সিরিয়ালের মাধ্যমে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয়েছিল সিদ্ধার্থের। এছাড়াও, ‘আহাট’, ‘লাভ ইউ জিন্দেগি’, ‘সিআইডি’র মতো একাধিক খ্যাতনামা সিরিয়ালের অভিনয়ে মন জয় করে নিয়েছিলেন দর্শকদের। যদিও জনপ্রিয় হিন্দি সিরিয়াল ‘বালিকা বধূ’র মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমেই সিদ্ধার্থ শুক্লা টেলিদর্শকদের অন্দরমহলের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।
পাশাপাশি ‘ঝলক দিখলা যা’ সিজন ৬, ‘ইন্ডিয়াজ গট ট্যালেন্ট’, ‘খত্রোঁ কে খিলাড়ি ৭’, ‘বিগ বস ১৩’ এবং ‘বিগ বস ১৪’-র মতো রিয়ালিটি শোয়েও অংশ নিয়ে তার ট্যালেন্ট কে তুলে ধরেছিলেন দর্শকদের সামনে। মাত্র ৪০ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন সিদ্ধার্থ।
তাঁর প্রয়াণে শোকাহত বলিউড থেকে হলিউড। এমনই এক জনপ্রিয় অভিনেতা মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন মনোজ বাজপেয়ী অভিনেতা জয়ভানু বনশালি, কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া, যুবিকা চৌধুরি, কপিল শর্মা, সায়নী গুপ্তা সহ বলিউড-টলিউড এর নামকরা অভিনেত্রী ও পরিচালকরা।
সিদ্ধার্থের মৃত্যুতে টুইট করেছেন গায়ক আরমান মালিকও। তিনি লেখেন, ‘এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না এই খবরটা। এটা সত্যি সিদ্ধার্থ আর নেই! না, এটা হতে পারে না।’
সিদ্ধার্থের এক বান্ধবী এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্যও টুইটে লেখেন, ‘কেমন অসাড় হয়ে গেলাম। কেন সিড? এত তাড়াতাড়ি কেন! তোমার আত্মা যেন শান্তি পায় আমার বন্ধু।





