- পদ খারিজের দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
- ধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে সে কথা বলেন।
- শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় ১৭ মে।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভোটের আগেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বার বার দাবি তোলা হয় দল বদল করা সাংসদরা পদত্যাগ করে ভোট লড়ুন বা ভোট প্রচারে নামুন। বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে দল বদল করা সাংসদদের পদ খারিজের দাবি আরও একবার সামনে আনলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও বর্ধমান পূর্বের সংসাদ সুনীল মণ্ডলের পদ খারজি করতে হবে। ভোটের ফল বেরনোর এক মাসের মাথায় ফের বিষয়টি নিয়ে তৎপর হল তৃণমূল কংগ্রেস। দল বদল করা দুই সাংসদের লোকসভায় সদস্য পদ খারিজের দাবি তুলল রাজ্যের শাসক দল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে ফের একবার সেই দাবি তোলেন তিনি।
কুণাল ঘোষ জানান, সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে ৪ জানুয়ারি প্রথম চিঠি দেওয়া হয়। এবং ১২ মে ফের একবার রিমাইন্ডার দেওয়া হয় দলের তরফে। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় ১৭ মে। দলের তরফে চিঠি দেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন কুণাল ঘোষ সেই চিঠি সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়ে জানান, দুই দলবদলুই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। এবং ভোট এবং ইয়াসের পর দুজনই কার্যক জন বিচ্ছইন্ন হয়ে ঘরে বসে গিয়েছে। তাই চলতি কোভিড পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থীকে ফের রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ করতে সময় নষ্ট করছেন রাষ্ট্রপতি। অথচ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের পদ খারিজের বিষয়টিতে পদক্ষেপ করতে সময় পাচ্ছেন না লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। বারবার এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও সাড়া দিচ্ছেন না অধ্যক্ষ। তৃণমূল চায় অবিলম্বে এই রাজনীতি বন্ধ হোক।