নিজস্ব সংবাদদাতা, দাসপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ ব্লকে (Daspur) ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হল আরও এক নলবাহিত জল সরবরাহ প্রকল্পের। শনিবার সকালে দাসপুরের পাঁচবেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাঁশখাল গ্রামে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা, মহকুমা এবং ব্লক স্তরের ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রশাসনিক কর্তারা। চলতি বছরেই এই প্রকল্প চালু হয়ে যাবে বলে জানান হয়েছে। এবং এই প্রকল্পে এলাকার প্রায় ৬ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতরের আওতায় এই জল প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে। জল প্রকল্পটি পাঁচবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচবেড়িয়া, গোবিন্দর, উত্তর গোবিন্দনগর এবং বাঁশখাল গ্রামের প্রায় ৩৬৮ হেক্টর এলাকা জুড়ে জল সরবহার করবে। ২০২২ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ হবে বলে দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
জল প্রকল্পটি তৈরি করতে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে যন্ত্রাংশের জন্য ৫২ লক্ষ ৫৩ হাজার এবং বাকি টাকা শ্রমিক, মাটি পরীক্ষা ইত্যাদি খাতে ধরে রাখা হয়েছে। এই প্রকল্পে ১ হাজার লিটার জল সরবরাহ করতে ৮টাকা ৪৩ পয়সা খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে।

ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের ওয়েস্টার্ন সার্কেলের এসই প্রদীপকুমার রুদ্র, মেদিনীপুর ডিভিসনের ইই শামীদীপ ভট্টাচার্জ, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূঞ্যাঁ, পশিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র, দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনীল ভৌমিক, দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুকুমার পাত্র, দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতরের কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব সেনাপতি, পাঁচবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিপালী ঘোষ, উপপ্রধান সুকুমার জানা, ঘাটাল সাব ডিভিশন স্টেশনের এ ই মলয়কুমার কয়াল-সহ প্রশাসনিক কর্তারা।
শ্যামপদ পাত্র তাঁর বক্তব্যে জানান, এত দিন এই এলায় যে জলের সমস্যা ছিল এবার তা মিটে যাবে। এবার ঘরে ঘরে পাইপ লাইন দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। গোটা জেলার জলের সমস্যা সম্পূর্ণ মেটাতে মোট ৯ লক্ষ ঘরে জলের সংযোগ দিতে হবে। তার মধ্যে ইতিমধ্যেই তাঁর দফতর দেড় লক্ষ সংযোগ দিয়ে দিয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত করে ফেলার প্রক্রিয়া চলছে।

সুকুমার পাত্র বলেন, এই বছরই দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতি উন্নয়নের নিরিখে ভারত সরকারের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছে। যার অর্থমূল্য ২০ লক্ষ টাকা। যা মানুষের কাজে খরচ করা হবে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে সাধারণ মানুষ তার পাশে থাকুন। পানীয় জল নিয়ে তিনি দল এবং সরকারের পরিকল্পনার কথা বলেন। তিনি বলেন ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে গেলে তা দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের জলের সমস্যা মিটিয়ে দেবে।