দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ও ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে পথে নামলেন শিক্ষকরা

Share with Friends

শ্যামসুন্দর দোলই, মেদিনীপুর: পেট্রোপণ্যে (Petrol Price Hike) ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা কর্মীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিছিল করল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি(WBTPTA)। সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর শাখা শুক্রবার মেদিনীপুর (Medinipur) শহরে মিছিলের আয়োজন করে। মিছিল শেষে পথসভা থেকে ত্রিপুরায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি করা হয় হয়।

সারা দেশে রান্নার গ্যাস, পেট্রল, ডিজেলের পাশাপাশি ভোজ্য তেল, মশলা-সহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যে লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি চলছে তাতে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। এই অভিযোগে রাজ্যের শাসক দল সব স্তরে নানা ভাবে তার প্রতিবাদ করছে। এবার সেই ইস্যুর সঙ্গে সম্প্রতি ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ছাত্রনেতা দেবাংশু, সুদীপ্ত ও জয়া দত্ত-সহ দলের নেতা কর্মীদের উপর আক্রমণেরও প্রতিবাদে পথে নামল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।

ত্রিপুরার হামলার পিছনে সরাসরি বিজেপির হাত রয়েছে বলে শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির গুণ্ডাবাহিনীর এই হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে ত্রিপুরা পুলিশের প্রতারণামূলক ভূমিকা এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে মিছিল সংগঠিত করে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন।

নিজস্ব চিত্র।

পশ্চিম মেদিনীপুর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিল শহরের গোলকুঁয়া চক,  রাজাবাজার মোড় হয়ে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে যায়। জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এবং বটতলা চকে পথসভা করা হয়।

ঘাটালের বন্যা পরিদর্শনে মঙ্গলে মুখ্যমন্ত্রী, পরিস্থিতির জন্য দুষলেন কেন্দ্রকেই

পথসভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি অর্ঘ্য চক্রবর্তী, সহসভাপতি শান্তনু দে, সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ দে, রাজ্যকমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু বিষই প্রমুখ। তাঁরা পেট্রোপণ্য-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।

পথসভা থেকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর আক্রমণের ঘটনায় সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের ভূমিকার কঠোর নিন্দা করা হয়। পথসভার বক্তারা ত্রিপুরা সরকারের ভূমিকাকে ‘অমানবিক,প্রতিবাদী কণ্ঠ রোধে বর্বরোচিত আক্রমণ ও গণতন্ত্র হত্যার সামিল বলে মন্তব্য করেন। এই ঘটনার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে ত্রিপুরায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবিও করেছেন বক্তারা।


Share with Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *