শ্যামসুন্দর দোলই, দাসপুর: ঠিক ২০ মাস পর রাজ্যের (West Bengal) স্কুলগুলি খুলল (Schools reopened)। ফের এক বার বাংলার বিদ্যামন্দিরে বাজলো ক্লাসের ঘণ্টা। করোনার (Coronavirus) অতিমারীর জেরে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গেটে কার্যত তালা দেওয়া ছিল পড়ুয়াদের জন্য। সব রকম অফলাইন পঠন পাঠন বন্ধ করতে হয়েছিল। তার পর সরকারি নির্দেশ মেনে রাজ্যের স্কুলগুলি মঙ্গলবার থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বলতে গেলে সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল না। করোনা পরিস্থিতিতেও উচ্চ প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত পড়ুয়াদের পুষ্টির যোগান দিতে প্রতি মাসে মিড ডে মিল সামগ্রী ইউনিফর্ম জুতো স্কুল ব্যাগ খাতা ইত্যাদি পড়ুয়াদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিদ্যালয় চত্বরে।
এছাড়াও সরকার ও শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মতো নানা তথ্যাবলী প্রেরণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য খুলে রাখা হয়। এমনকি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে সামাজিক পরিষেবার কাজেও এই প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা হয়েছে। তবে দেব দেবী বিগ্রহের অনুপস্থিতিতে মন্দির যেমন মাধুর্য্য হারায় ঠিক তেমনি পড়ুয়াদের অনুপস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি যেন কোমায় আচ্ছন্ন ছিল।
এই অবস্থায় সব দিক বিচার করে সরকারি নির্দেশে ১৬ নভেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরানো ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। এই শুরুতে অবশ্য বিদ্যালয়ের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু করোনা বিধি মেনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত ঘোষ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “সরকারি নির্দেশ মত ক্লাস রুমগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি বেঞ্চে ২ জন করে পড়ুয়া বসানো হচ্ছে। এদিন প্রতিটি পড়ুয়াকে থার্মাল চেকিং করে কলম উপহার দিয়ে স্কুলে স্বাগত জানানো হয়েছে।