শ্যামসুন্দর দোলই, দাসপুর: পুরাতাত্ত্বিক ডক্টর প্রণব রায়ের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি সভা অনুষ্ঠিত হল পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) ঘাটালের দাসপুরে (Daspur)। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঘাটাল মহকুমার পুরাতাত্ত্বিক ডক্টর প্রণব রায় স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি। শনিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কথায় বলে ‘বাপকা বেটা, সিপাইকা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া’। এই প্রবাদের সার্থক দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন দাসপুর থানার বাসুদেবপুর গ্রামের ভূমিপুত্র প্রণব রায়। জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে । পুরাতাত্ত্ব, সাহিত্য সংস্কৃতির সত্যান্বেষী প্রণব রায় এই বছর ৩০ অক্টোবর কলকাতায় চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।
শনিবার প্রথমে বৈকুণ্ঠপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসুদেবপুর বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ পর্যন্ত একটি মৌন মিছিল হয়। এরপর বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে স্মরণ সভার আয়োজন হয়। সেখানে সভার পৌরোহিত্য করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্প উন্নয়ন নিগমের অবসরপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার জয়দেব ঘড়া।
প্রণব রায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর জয়দেব ঘড়া প্রণব রায়কে তাঁর বাবা পরিব্রাজক পঞ্চানন রায় কাব্যতীর্থ জ্যোতির্বিদেরর পদাঙ্ক অনুসরণে সুযোগ্য উত্তরসুরী ও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার গর্ব বলে মত প্রকাশ করেন। প্রণব রায়ের ভাই ডক্টর পুলক রায় দাদার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাঁকে নিরলস কর্মযোগী বলে উল্লেখ করেন।
প্রণব রায় ‘ঘাটালের কথা’, ‘মেদিনীপুরের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিবর্তন’, ‘বাংলার খাবার’, ‘জাতকের গল্প’, ‘আঁধার মাণিক’ প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করে আমাদের অমূল্য সম্পদ উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও প্রণব রায় স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির কার্যকরী সভাপতি তাপস কুমার পোড়েল, বরুণা সৎসঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সাগরপুর স্যার আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানস কুমার মান্না, কবি-সাহিত্যিক ভবানী চক্রবর্তী, দাসপুর সমাজকল্যাণ পর্ষদের সম্পাদক নীলমণি মুখোপাধ্যায় প্রমুখ প্রণব রায়কে বাংলার গর্ব ও সাহিত্য সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।
সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন আহ্বায়ক সুরতপুর ঋষি অরবিন্দ শতবার্ষিকী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক তারাশঙ্কর দাসবৈরাগী।