শ্যামসুন্দর দোলই, চন্দ্রকোনা: বছর যায় বছর আসে (Happy New Year 2022)। পুরানো মলিনতা ধুয়ে নতুনকে বরণ। এ সত্য চিরন্তন। এতেই সামিল হলেন ঘাটাল মহকুমা সাহিত্য একাডেমির সদস্য সদস্যারা।
পাঁশকুড়া-ঘাটাল বাস রাস্তা ছাড়িয়ে ঘাটাল-চন্দ্রকোনার পথে, শীতে কাবু নয়, শীতকে কাবু করে এগিয়ে চলা। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত। এর মধ্যে খিরাটী গ্রাম। যেখানে আকাশে গাছেতে চলে কানাকানি। গাছ ঘাস আর মাটিতে জানাজানি। এই গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় ছুঁয়ে মনোরম পার্ক। মন ভাল করার আকর যেন। এর পাশেই কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চড়ুইভাতি ও নাচে গানে কবিতায় সাহিত্য বাসর।
সুরের মূর্ছনায় সামিল ছিলেন অরূপ ভূঁইয়া, যূথিকা বেরা, নবীনচন্দ্র বেরা, স্বপনকুমার মান্না, দীপালি রায়, ডাক্তার পুলক রায়, তারাশঙ্কর দাসবৈরাগী, অরুণিমা বেরা। কবিতায় ছিলেন অমল রাণা, সুখেন্দু মাইতি, মদনমোহন চক্রবর্তী, নির্ভয় চক্রবর্তী, শ্যামসুন্দর দোলই, ভবানী শংকর চক্রবর্তী, সুজাতা চক্রবর্তী। নাচে দেবাঞ্জনা ও দেবারতি দে প্রমুখ আসল মাতিয়ে তোলেন।
সব যেন ভোরাই-এ কাকলী কলতান। নদীর কুলুকুলু ধ্বনিতে এগিয়ে চলা। ঘর হতে দু’পা ফেলে আসপাশের প্রকৃতিকে ছোঁয়া। পার্কে বেড়ানো। ভোজন শেষে বিহার বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘ফাঁসি ডাঙ্গা উদ্যান’। এটি পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শাসক ডক্টর রশ্মি কমলের হাতে হয় ২০২১-এর ৮ অক্টোবর।
যে জায়গাটা ছিল ব্রিটিশ শাসনে আতঙ্কের স্থান! আর স্বাধীনোত্তর কালে মুঠো মুঠো আনন্দ উপভোগ ও বিনোদন স্থল। রূপকার গুণে রূপান্তর, আনন্দ উদ্যান। ২০২১-কে বিদায় দিয়ে নতুনকে অভিবাদন। স্বাগত ২০২২ সাল। নতুন আশা এখন দোরগোড়ায়।