
ঘুরতে (Travel) যাওয়ার কথা শুনলেই যেন আনন্দে আমাদের আয়ু বেড়ে যায়। আর তার সঙ্গে শুরু হয়ে যায় ঘুরতে যাওয়ার নানা রকম সামগ্রীর কেনাকাটা সেগুলো গোছানো আরও কতকি, সে যাই হোক আপনারা কি জানেন ভ্রমণ যেমন আমাদের মানসিক আনন্দ দেয় সেই সঙ্গে আরও কত রকমের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে আত্মার শান্তি তো আছেই তার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রমণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনেও সহায়তা করে থাকে।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই সময়ের অভাবে অথবা শারীরিক দুর্বলতার কারণে ভ্রমণ করা হয়ে ওঠে না। তাঁদের জন্য বলব শতব্যস্ততার মধ্যেও যেন ভ্রমণের জন্য কিছু সময় অন্তত তুলে রাখেন। অনেকের মধ্যেই এমন প্রশ্ন আসতে পারে যে ভ্রমণ কি ভাবে মানুষের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে তা নিয়ে আজ আলোচনা করব আমরা।

মানসিক চাপকমায়
একঘেয়ে এক পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে একটু আলাদা রকম ভাবে সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে। সারাদিনের ব্যস্ততা মানুষের মানসিক শান্তি কেড়ে নেয়, ভ্রমণই একমাত্র উপায় যা এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে, প্রতিদিনের বাঁধাধরা জীবনের বাইরে এসে আমরা প্রাণ খুলে যেমন শ্বাস নিতে পারি তেমনি মানসিক চাপ থেকে বেরিয়ে এসে সুস্থ ভাবে চিন্তা করতে পারি।

মস্তিষ্ক সতেজ রাখে
ভ্রমণের ফলে মানসিক চাপ কমে তাছাড়া পরিবেশের কাছাকাছি গেলে আমাদের মস্তিষ্কে সঠিক ভাবে অক্সিজেন প্রবেশ করে যার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক সতেজ থাকে
চিন্তা ধারার পরিবর্তন ঘটায়
ভ্রমণ এর ফলে আমরা বিভিন্ন শ্রেণীর বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সঙ্গে পরিচিতি লাভ করি বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হই আমরা বুঝতে পারি আমাদের চারপাশ ছোট্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নয়, এক বিশাল পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটে তাছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জীবন যাপন তাঁদের চিন্তা ভাবনা তাঁদের সংস্কৃতি সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। যার ফলে আমাদের চিন্তা ধারায় এক অন্য রকম পরিবর্তন আসে।

সাবলীল এবং অ্যাডজাস্টেবল করে তোলে
বিভিন্ন জায়গার ভ্রমণের ফলে আমরা বিভিন্ন রকমের মানুষের সঙ্গে মিশতে পারি বিভিন্ন চিন্তা ধারার মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে এর ফলে যেমন আমাদের জ্ঞান ভান্ডার পুষ্ট হয় তেমনি প্রত্যেক দিনের চলার মানুষের সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে চলতে হবে সে বিষয়ে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। তাছাড়াও ভ্রমণে আমরা নানা রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে পারি কিন্তু সেই সমস্যার মধ্যে আটকে না থেকে কি ভাবে বেরিয়ে আসা যায় এবং সেই পরিবেশের সঙ্গে কি ভাবে খাপ খাইয়ে চলতে হবে তাও শিখতে পারি।

আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়
মানুষকে নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়াতেও ভ্রমণ কম কার্যকরী নয়, কি ভাবে বিপদসংকুল পথ জয় করে আনন্দ উপভোগ করা যায় তা ভ্রমণই শেখায় তা ছাড়াও কোনও কঠিন সমস্যার সমাধান করে যে আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে তা অন্য কিছুতে গড়ে ওঠে না, ভয় কে পিছনে ফেলে আপনাকে এগিয়ে যেতে ভ্রমণই সাহায্য করে।

এছাড়াও ভ্রমণে মানুষের নতুন নতুন কাজ করার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পায়, ধৈর্য বৃদ্ধি পায় আরও কতকি। যাঁরা মনে করেন ভ্রমণ শুধুই সময়ের অপচয় বা টাকার অপচয় তাঁদের বলব তাঁরা যেন একটু সময় বাঁচিয়ে নেন ভ্রমণে জন্য।
(ছবিগুলি ওড়িশার সিমলিপাল ন্যাশনাল পার্ক এবং সংলগ্ন এলাকায় তোলা।)
