২৫ ডিসেম্বর দিনটি তুলসী দিবস হিসেবে পালিত হয়

Share with Friends

তুলসী (Tulsi/Holy Basil/Thai Krapho) একটি Lamiaceae family-র অন্তর্গত একটি ঘন শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট ২/৩ ফুট উঁচু একটি চিরহরিৎ সুগন্ধি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। তুলসীর বৈজ্ঞানিক নাম Ocimum sanctum (sanctum অর্থ পবিত্র স্থান)। তুলসী একটি ঔষধিগাছ। ‘তুলসী’ শব্দের অর্থ যার তুলনা নেই।

তুলসী পরিবেশগত এবং এর সঙ্গে সাধারণত কৃষ্ণ ও রাধা তুলসী এই দুই প্রকারে প্রাপ্ত তুলসী হিন্দু গৃহে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে পূজিত হয়ে আসছে। তুলসীর প্রতি সমাদরের কারণ শুধু ধর্মীয় নয়, পরিবেশগত ও বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে।

ভারত এবং বাংলাদেশে প্রায় সর্বত্র তুলসী গাছ দেখা যায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এটি একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসাবে সমাদৃত। তুলসীকে হিন্দুরা দেবী রূপে পুজো করেন। ব্রহ্মকৈবর্তপুরাণে তুলসীকে ‘সীতাস্বরূপা’, স্কন্দপুরাণে ‘লক্ষ্মীস্বরূপা’, চর্কসংহিতায় ‘বিষ্ণুপ্রিয়া’, ঋকবেদে ‘কল্যাণী’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – আজ তুলসী দিবস, জেনে নিন তুলসীর গুণাগুণ সম্পর্কে

ধর্মীয় কারণ: ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে তুলসীকে সীতাস্বরূপা ,স্কন্দপুরাণে লক্ষীস্বরূপা, চর্কসংহিতায় বিষ্ণুর ন্যায় ভূমি, পরিবেশ ও আমাদের রক্ষাকারী বলে বিষ্ণুপ্রিয়া, ঋকবেদে কল্যাণী বলা হয়েছে। স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু তুলসী দেবীকে পবিত্রা বৃন্দা বলে আখ্যায়িত করে এর সেবা করতে বলেছেন।
পরিবেশগত কারণ : পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তুলসীগাছ বায়ু বিশুদ্ধ রাখে। যেখানে অন্য যেকোন গাছ রাত্রিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে তাই রাতের বেলাতে তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য উপকারী বলে বিশ্বাস। এছাড়া তুলসীগাছ ভুমিক্ষয় রোধক এবং তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপকে দূরে রাখে বলে মনে করেন অনেকে।

বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যগত কারণ:
*তুলসীতে Eugenol অধিক পরিমাণে থাকায় তা Cox-2 Inhibitor রূপে কাজ করে। যা ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
*Hypoglycemic drugs এর সঙ্গে তুলসী খেলে তা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
*তেজস্ক্রিয়তার ফেলে ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলিকে দ্রুত মেরামত করতে সাহায্য করে।
*চর্বিজনিত হৃদরোগে এন্টি অক্সিডেন্টের ভুমিকা পালন করে।
*তুলসী একশোরও বেশি Phytochemicals (যেমন Oleanolic acid, Beta caryophyllene ইত্যাদি) বহন করে বলে ক্যান্সার চিকিত্সাোয় ব্যবহৃত হয়।
*তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস Immune system এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
*তুলসী স্নায়ুটনিক ও স্মৃতিবর্ধক।
*শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।
*সর্দি, কাশি, জ্বর, বমি, ডায়ারিয়া, কলেরা, কিডনির পাথর, মুখের আলসারসহ চোখের বিভিন্ন রোগে ইহা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
*দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।


Share with Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *