সাধারণ মানুষ তথা ক্রেতাদের (Consumer) নানা ক্ষেত্রে ঠকে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এক আলোচনা সভার (Awareness camp) আয়োজন করা হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ২ ব্লকের কার্যালয়, সোনাখালি বিডিও অফিস চত্বরে। শনিবার দুপুরে এই সেমিনারের আয়োজন করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও জেলার উপভোক্তা বিষয়ক ও ন্যায্য বানিজ্য অনুশীলনের দাসপুর ২ আঞ্চলিক কার্যালয়।
উপভোক্তার অধিকার, সুরক্ষা ও বৈধ পরিমাপক বিষয়ক এই সেমিনারের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সংখ্যালঘু দফতর) সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, বিধায়ক মমতা ভূঁইয়া, দাসপুর ২-এর বিডিও অনির্বাণ সাহু, জয়েন্ট বিডিও সায়ন মজুমদার, জেলা পরিষদ সদস্য আশিস হুদাইত ও প্রতিমা দোলই, ক্রেতা ও সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক শ্রীলিপি সেনগুপ্ত, জেলা বৈধ পরিমাপ দফতরের আধিকারিক সুভাষ ঘোষ, দাসপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিখা দোলই, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অলোকরঞ্জন ভুক্তা।
অনুষ্ঠানে ক্যুইজ ও ম্যাজিকের মধ্যে দিয়ে বার্তা তুলে ধরা হয় কী ভাবে মানুষ নানান ক্ষেত্রে জিনিস কিনতে গিয়ে ঠকছেন কিনা তা বুঝবেন কী ভাবে। যেমন ডোমেস্টিক LPG সিলিন্ডারের ওজন হওয়ার কথা ১৪.২ কেজি। তবে ১৫০ গ্রাম বেশি বা কম থাকলে তা ব্যবহার করতে বলা হয়। সে ক্ষেত্রে অভিযোগ গ্রাহ্য হবে না। কিন্তু ১৫০ গ্রামের থেকে যদি বেশি পরিমান কম গ্যাস থাকে তবে অভিযোগ জানাতে পারেন। তবে যদি ১৫০ গ্রামের থেকে বেশি পরিমান থেকে থাকে তবে তাও যে ব্যবহার করা বিপজ্জনক তাও তুলে ধরা হয়।

তেমনি তুলে ধরা হয় ‘বিক্রি করা মাল ফেরত নেওয়া হয় না’ এমন কথা যদি কোনও মালের রসিদের নিচে লেখা থাকে তবে সে কথারও কোনও মূল্য নেই আইন মোতাবেক। কারণ বিক্রি করা মালে যদি কোনও ডিফেক্ট থেকে থাকে তবে তা ফেরত নিতে বাধ্য দোকানদার। তাই যে কোনও মাল কেনার সময় রসিদ নেওয়া খুব জরুরি। যদি জামা কাপড় কেনার পর ধুতে গিয়ে দেখা যায় রং উঠে বেরং হয়ে গিয়েছে, তবে ধোয়ার পরেও সেই মাল ফেরত নিতে বাধ্য দোকানদার। কারণ এটিও ডিফেক্টিভ মাল হিসাবে ধরা হয়।

সেই সঙ্গে এই সভা থেকে সতর্ক করা হয়, আর্থিক লেনদেন যেমন বীমা, সঞ্চয়ের মতো ক্ষেত্রে সব সময় সরকারি প্রতিষ্ঠানের উপরই বিশ্বাস রাখতে। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা বা প্রচুর লাভের প্রতিশ্রুতি দেওয়া সংস্থার দিকে না ঝোঁকাই ভাল। কারণ সে ক্ষেত্রে টাকা ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
