নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: এবার মেদিনীপুরে পুলিশে জালে ধরা পড়ল এক জাল IPS অফিসার। গত এক বছর ধরে সৌম্যকান্তি মুখোপাধ্যায় নামের ওই যুবক নিজেকে IPS অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার তিনি পুলিশের জালে ধরা পড়ার পর জেরায় সত্যি স্বীকার করেছেন। পুলিশ এখন তদন্ত করে দেখছে, সৌম্যকান্তির প্রতারণার জালে কারা কারা ফেসেছেন।
এর আগে রাজ্যে নানা জয়গায় একাধিক এমন ভুয়ো IPS অফিসার ধরা পড়েছে। আর বার বার এই রকম ঘটনার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলগুলি শাসক দলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে, আক্রমণের নিশানা করেছে। রাজ্য রাজনীতিও উত্তাল হয়েছে ভুয়ো IPS বিতর্কে। এবার খোদ মেদিনীপুরের মত জায়গাতেও ধরা পড়ল।।
বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে সূত্রের খবরে। সেই সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে সাংবাদিকদের সামনে সৌম্য জানিয়েছেন, শেষ ১ বছর ধরে এ ধরনের কাজকর্ম করছিলেন।
জানা গিয়েছে, সৌম্যর এক পরিচিত বাঁকুড়ার তালডাংরার অফিসার। তবে কেন কী উদ্দেশে আইপিএস অফিসার সেজে প্রতারণা করতে নেমেছিলেন বা কার সাহায্যে এমন কাজ করলেন সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি সৌম্য।
‘দিদির উপর ভরসা করলে কপালে তালিবানের গুলি আছে’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপের
মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার বলেন, সৌম্যকান্তি বেশ কয়েক বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু পাস করতে পারেননি। তার পর কময় সময়ে বেশি টাকা উপার্জনের জন্য আইপিএস অফিসার সেজে জালিয়াতির ফাঁদ পাততে শুরু করেন। ধৃতের কাছ থেকে আইপিএস ব্যাজ, সোলডার স্টার এবং ব্যান্ড-সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।
সৌম্যর পর্দা ফাঁস হতেই তাঁর বাবা মায়ের আর হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। তাই পুলিশ মনে করেছে তাঁরাও ছেলের কীর্তির কথা জানতেন। এর সঙ্গে বড় কোনও চক্র রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।