শ্যামসুন্দর দোলই, দাসপুর: কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) ভ্রান্ত নীতির কারণে দাম বাড়ছে পেট্রো পণ্যের (Petrol price hike)। আর সে কারণেই অস্বাভাবিক হারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এই অভিযোগ তুলে এবার রাজ্যের শাসক দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন পথে নামল। পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটাল মহকুমা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ১১টি চক্রের প্রায় ৬০০ শিক্ষক শিক্ষিকা শুক্রবার পথে নামেন।
শুক্রবার সকালে দাসপুর থানার বকুলতলা থেকে দাসপুরের পীরতলা পর্যন্ত পদযাত্রা এবং পদযাত্রা শেষে প্রতিবাদসভা করা হয়। এই কর্মসূচিতে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির চেয়ারম্যান শ্যামপদ পাত্র, শিক্ষক সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অনিমেষ দে, ঘাটালের সাংগঠনিক সভাপতি আশিস হুতাইত, মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতা সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, দাসপুর ১ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুকুমার পাত্র, আইএনটিইউসি-র পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল ভৌমিক প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখার সময় সংগঠনের নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার জনবিরোধী নীতিতে চলছে। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের উপেক্ষা করে সরকার ভ্রান্ত নীতি রূপায়ণে ব্যস্ত। কর্পোরেট সংস্থার আর্থিক বিকাশে কেন্দ্রীয় সরকার জনগণের পকেট কাটায় শশব্যস্ত। পেট্রো পণ্যের দৈনিক মূল্য বৃদ্ধিতে বিজেপি সরকার এক কালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

সম্প্রতি পেট্রোল ডিজেলে দাম কিছুটা কমানো নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দেন তাঁরা। উপস্থিত নেতারা দাবি করেন, উপনির্বাচনে হেরে পেট্রোল ডিজেলের মূল্য যথাক্রমে ৫ টাকা ১০ টাকা কমাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু তার পরেও পেট্রোপণ্যের বর্তমান মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যকেও লজ্জা দিচ্ছে। রান্নার গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি হাজার টাকা ছুঁই ছুঁই করছে। ভোজ্যতেলের দাম ২০০টাকা প্রতি কেজি ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এই সভা থেকে কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তৃণমূল নেতারা। তাঁরা বলেন, নতুন ‘কালো কৃষিবিল’ প্রত্যাহার না করে দেশের মানুষের অন্নদাতা কৃষকদের পীড়নে ব্যস্ত এই সরকার। প্রতিবাদ সভা থেকে সব বক্তাই কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক ‘জনবিরোধী নীতি’ তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানান।
